ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কোন ধরণের কাজের পরিমান ও মান বেশী??
আজ আমরা যে বিষয় নিয়ে আলাপ করব, তাহল- ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কোন কোন কাজসমূহের চাহিদা ও মান বেশী।
ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করার জন্য কাজ শেখার কোন বিকল্প নেই। কাজ না যেনে কোন কাজের জন্য বিড করা বা আবেদন করা উচিত না। যারা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আগ্রহী তাদের অনেকেই একটা প্রশ্ন করেন- কি ধরণের কাজ করা বা শেখা উচিত? আমার উত্তর হল- আপনার যে কাজটা ভাল লাগে, যে কাজে আপনার মনে আনন্দ পান সেই কাজটা শেখাই আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল হবে। তবুও আবার অনেকেই আছেন যারা সব ধরনের কাজ করতে আনন্দ পান। যাই হোক, আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের আলোচনার বিষয়বস্তুর দিকে।
ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার বা অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো হল এমন এক ধরণের সাইট যেখানে সব ধরণের কাজ পাওয়া যায়। তবে ক্ষেত্রবিশেষে কাজের পরিমান ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। চলুন দেখে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কোন ধরণের কাজের পরিমান ও মান বেশী-
১। ওয়েব প্রোগ্রামিং-
প্রায় সকল ফ্রিল্যান্সিং সাইটেই ওয়েব প্রোগ্রামিংএর কাজ সব চেয়ে বেশী থাকে। আর এইসব কাজের ডিমান্ডও অনেক বেশী হয়ে থাকে। এই মূহুর্তে ওডেস্কে (আমি যখন এই আর্টিকেল লিখছি 4-1-2012; 2.46AM) 6987টি কাজ আছে শুধু ওয়েব প্রোগ্রামিংয়ের। আপনি যদি ওয়েব প্রোগ্রামিং জানেন তাহলে এর মাধ্যমে অনেক কাজ করতে পাড়বেন।২। ওয়েব ডিজাইন-
ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব প্রোগ্রামিং প্রায় একই রকম কাজ। তবুও ওডেস্কে এ দুইটাকে আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়। আর এর জন্য আলাদা দুইটি শাখা আছে। কাজের পরিমানের দিক থেকে ওয়েব ডিজাইনিংয়ের কাজ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে।৩। এস.ই.ও-
কাজের পরিমাণ এবং মানের দিক থেকে ওয়েব ডিজাইনের পর পরই রয়েছে এস.ই.ও এর কাজ। আর এটাই স্বাভাবিক, কারণ কোন সাইটকে ডিজাইন করার পর পরই প্রয়োজন হয় সাইটে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার। আর তাই এই কাজের চাহিদা যেমন বেশী তেমনি এর মানও বেশী। তাই এইসব কাজের কন্ট্রাক্টারদের আওয়ারলি রেট তুলনামূলকভাবে বেশীই হয়ে থাকে।৪। ব্লগ এবং আর্টিকেল রাইটিং-
আর্টিকেল রাইটিং কাজটা সহজ হলেও এই কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। অনেক বায়ার আছে যারা তাদের সাইটে আর্টিকেল পোষ্ট করার জন্য অনগয়িং কন্ট্রাক্ট নিয়ে নেয়। আপনি যদি ভাল আর্টিকেল লিখতে জানেন তাহলে এর মাধ্যমেও অনেক কাজ করতে পাড়বেন।৫। গ্রাফিক্স ডিজাইন-
এটা হল আমার সবচেয়ে প্রিয় কাজ। আর ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলাতে এর অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি ভাল গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ জানেন তাহলে অনেক আয় করতে পাড়বেন। আর গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের ডিমান্ডও অনেক বেশী হয়ে থাকে।৬। ডাটা এন্ট্রি-
এছাড়াও রয়েছে অঢেল ডাটা এন্ট্রির কাজ। প্রত্যেকটা সাইটেই ডাটা এন্ট্রির অনেক সহজ কাজ থাকে। যেমন: কেপ্চা এন্ট্রি, কপি রাইটিং ইত্যাদি। এইসব কাজ পরিমাণেও অনেক বেশী থাকে। তাই এইসব কাজ করেও আপনি আয় করতে পারেন।৭। মোবাইল এ্যাপ-
শুধু যে ডাটা এন্ট্রি আর ডিজাইনিংয়ের কাজ বেশী তা না। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে প্রোগ্রামিং এরও অনেক চাহিদা রয়েছে। আর এইসব কাজের দাম খুব বেশীই হয়ে থাকে। বর্তমানে প্রোগ্রামিংয়ের কাজের মধ্যে মোবাইল এ্যাপ তৈরীর কাজ খুব বেশী পাওয়া যায় যার ডিমান্ড অনেক বেশী।৮। লিংক বিল্ডিং-
লিংক বিল্ডিং-এর কাজের কোন শেষ নাই। অনলাইনে হাজার হাজার কাজ আছে লিংক বিল্ডিংয়ের। এসব কাজ করতে অনেকটা সহজ আবার এই কাজগুলোর পরিমানও অনেক বেশী। আপনি এসব কাজ করেও অনেক অর্থ আয় করতে পারেন।৯। লোগো ডিজাইন-
লোগো ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রায় একই রকম হলেও বিভিন্ন সাইটে এই কাজগুলোকে আলাদা ভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। কারণ লোগো ডিজাইনের কাজ অনেক বেশী থাকে। অনেক সাইট আছে যারা মূলত লোগো ডিজাইনকেই কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে, আর ঐসব সাইটে এই কাজের অনেক দাম রয়েছে।১০। এস.এম.এম-
সাম্প্রতিক সময়ে এই কাজের চাহিদা অনেক
বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কাজটা নতুনদের জন্য অনেক ফ্রেন্ডলি একটা কাজ। এই কাজ
করেও আপনি আয় করতে পারেন অনেক অর্থ। তাছাড়াও আরো অনেক ধরণের কাজ রয়েছে।
আপনি যদি সত্যিই কাজ জানেন তাহলে অনেক কাজ করতে পাড়বেন। তবে আবারো আরেকটা
কথা বলি যদি কাজ না জানেন তাহলে কোন কাজে বিড করবেন না। কারণ, প্রথমত
ক্যারিয়ারের শুরুতে একটা খারাপ ফিডবেক আপনার জন্য অনেক বড় বাধা হয়ে দাড়াবে।
দ্বিতীয়ত, এইভাবে কাজ না জেনে বাজে কাজ করলে আমাদের দেশেরও মান-সম্মান
অনেক কমবে। তাই কাজ করার আগে কাজ শিখুন। যেকোন একটি বিষয়ই ভালভাবে শিখলেই
হবে। ঐকাজ থেকেই অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
0 comments:
Post a Comment